মো আরিফুল ইসলাম সিকদার:আজ ৬ই মে রোজ শনিবার পার্বত্যজেলা রাঙামাটির অন্যতম এক প্রাচীন ও দুর্গম উপজেলা বরকলের
বরুনাছড়ি জোন উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করেছেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।
খবর নিয়ে জানা যায়,ইখতিয়ার হোসেন নামক একজন আওয়ামী নেতা ও অত্র এলাকার বাসিন্দা বরুনাছড়ি জোন নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর নিয়োগ পরীক্ষাটি স্থগিত করার জন্য রাঙ্গামাটি জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি)বরাবর আবেদন করেন।
এ বিষয়ে তিনি জানান,অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি পদটিতে দীর্ঘ বিশ(২০) বছর যাবত একনাগারে একজন ব্যাক্তিই বহাল রয়েছেন।বরকল উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও অত্র বিদ্যালয়ের দায়িত্বরত সভাপতি মো জাহাঙ্গীর আলম ও প্রধান শিক্ষক রতন বড়ুয়ার মাধ্যমে গত ০৩/০৩/২০২৩ খ্রি তারিখে দৈনিক সমকাল পত্রিকায় উক্ত নিয়োগটা প্রকাশ করা হয়।কিন্তু বরকলে সমকাল পত্রিকাটি না আসা এবং বিদ্যালয়ের নোটিশবোর্ডেও বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ না করায় আগ্রহী প্রার্থীরা কেউই যথাসময়ে জানতে পারে নি।এছাড়া আবেদনের শেষ তারিখ ১৭/০৩/২০২৩ ছিলো শুক্রবার।বন্ধের দিন হওয়াতে বিপাকে পড়েছেন চাকরি প্রার্থীরা।এছাড়া ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নিজে নিয়োগবোর্ডের সভাপতি ছিলেন এবং উক্ত নিয়োগে আবেদনকারীর অনেকেই তার নিকটাত্মীয় (ছেলে,ছেলের বউ,ভাতিজা,শ্যালক,শ্যালকের বউ)।তাই ইখতিয়ার এলাকাবাসীর পক্ষে নিয়োগটি স্থগিত এবং পুনঃনিয়োগের জন্য আবেদনটি করেছেন বলে তিনি জানান।
সুভলং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু কালাম জানান,বিদ্যালয়টি পকেট কমিটির মাধ্যমে পরিচালনার কারণে এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।নিয়োগটা সম্পর্কে এলাকার অধিকাংশ লোক জানে না। এক সময় আমরা এলাকার লোকেরাই ৫০ টাকা করে চাঁদা দিয়ে স্কুল শিক্ষকদের বেতন দিয়েছি। এখন দুজন লোকেই স্কুলটির সর্বেসর্বা। আমরা পুর্বের নিয়োগ ও নিয়োগ কমিটি বাতিল করে পুনঃনিয়োগের মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে নিয়োগটা সম্পন্ন করার দাবী জানাচ্ছি।এছাড়া তিনি ম্যানেজিং কমিটির পরিবর্তনেরও দাবী জানান।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো জাহাঙ্গীর আলম মেম্বার অভিযোগকারী ইখতিয়ার হোসেনের অভিযোগটি ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বলেন,আমরা নিয়োগটা আপাদত স্থগিত করেছি।যদিও উক্ত নিয়োগটা সম্পর্কে এলাকাবাসীসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই অবগত ছিলেন।এখানে কোন রকম স্বজনপ্রীতি হবার সম্ভাবনা নেই।আমরা সমকাল ও গিরিদর্পনে বিজ্ঞাপন দিয়েছি এবং বিদ্যালয়ের নোটিশবোর্ডেও সেটা দেয়া ছিলো।এছাড়া তিনি বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠাকালীন সময় হতে সভাপতি বলে তিনি দাবী করেন।
নিয়োগের পরবর্তী পদক্ষেপ ও পুনঃনিয়োগের বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,বিষয়টা ম্যানেজিং কমিটির পরবর্তী মিটিংয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।অভিযোগের বিষয়ে তিনিও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করেছেন বলে তিনি জানান।
বরুনাছড়ি জোন নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন বড়ুয়ার সাথে তার মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,নিয়োগটি নিয়ে ইউএনও অফিসে অভিযোগ করায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নিয়োগটা আপাদত স্থগিত করেছেন।নিয়োগের পরবর্তী পদক্ষেপ ও পুনঃনিয়োগের সম্পর্কে তিনি কোন তথ্য দিতে পারেন নি।