পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে এক ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে তিনজনকে দলীয় পদ দিয়ে উপজেলা সভাপতি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়ায় এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় বিএনপি’র নেতাকর্মীরা।
উপজেলা সাধারণ সম্পাদক তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে এক পোষ্টের মাধ্যমে বিষয়টিকে সম্পূর্ণ অবৈধ, অগণতান্ত্রিক এবং অসংগঠনিক বলেছেন। স্বার্থন্বেষী সভাপতি দলের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টির জন্যই এই কাজ করেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এর আগে (১৪ অক্টোবর) উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহাবুদ্দিন নান্নু ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ স্বাক্ষরিত একটি প্রেস রবিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের শূন্য পথ পূরণ সাধারণ সম্পাদক পদে শহিদুল ইসলামক, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মজিবুর ও সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুর রাজ্জাককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে কি কারনে এ পথগুলো শূন্য হয়েছে এবং তাদেরকে বাদ দেওয়া হয়েছে এ ব্যাপারে এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কিছুই লেখা হয়নি।
একক সিদ্ধান্তে এবং সাধারণ সম্পাদক থাকার পরেও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরে কেন এই এই প্রেস দেওয়া হল এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহাবুদ্দিন নান্নু সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরে ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে মুঠোফোনের লাইনটি কেটে দেন।
অপরদিকে এই কমিটিতে তিনজনের নাম পদায়ন করায় বিষয়টিকে সম্পূর্ণ অবৈধ ও গঠনতন্ত্র বিরোধী উল্লেখ করে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, মল্লিক মাকসুদ আহমেদ বায়েজীদ নামের ফেইসবুক আইডিতে ৫নং কাকরাবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির তিনজন নেতৃবৃন্দকে শূন্য পদে দায়িত্ব দেওয়ার চিঠি প্রকাশিত হয়। যাহাতে স্বাক্ষর করেছেন উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও যুগ্ম সম্পাদক। চিঠিতে ৫ অক্টোবর তারিখে সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। ঢাকায় যুব সমাবেশ সফল করার লক্ষে ১৪ অক্টোবরের প্রস্তুতি সভায় মোঃ মজিবুর রহমানকে ৫নং ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। সিনিয়র সহ-সভাপতি লেকচারার মোঃ আবুল কালাম আজাদ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান তাকে এখনো বহিষ্কার করা হয় নাই।এই চিঠি সম্পূর্ণ অবৈধ ও অগঠনতান্ত্রিক। মোঃ শহিদুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করা হয় যা সম্পূর্ণ অবৈধ।
সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে পরবর্তী যুগ্ম সম্পাদক জনাব মোঃ হেমায়েত হোসেন দায়িত্ব পাওয়ার কথা কিন্তু সভাপতি তার মাই ম্যান বানানোর জন্য মোঃ হেমায়েত হোসেন এর পরিবর্তে শহিদুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছেন যা সম্পূর্ণ অবৈধ ও অসংগঠনিক,আব্দুর রাজ্জাক উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক যিনি এখন পর্যন্ত পদত্যাগ করেন নাই তাকে ৫নং ইউনিয়ন মূল দলের সিনিয়র সহ সাধারণ সম্পাদক লেখা হয়েছে যা অবৈধ ও অসাংগঠনিক। আমি স্বার্থন্বেষী নেতৃবৃন্দের এহেন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ কে এ অবৈধ দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করার অনুরোধ করছি। মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র ১১৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির শতকরা ৮০% নেতৃবৃন্দ এ মিটিং সম্পর্কে অবহিত নন উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি তিন ঘণ্টার মৌখিক নোটিশে সীমিত সংখ্যক নেতৃবৃন্দ নিয়া সভায় অবৈধ অগঠনতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যা গঠনতন্ত্র পরিপন্থী।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহবায়ক আব্দুর রশিদ চূন্ন মিয়া ও সদস্য সচিব হাংশু সরকার কুট্টির মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।