নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকায় রয়েছে রেন্ট -এ-বাইক। স্থানীয় কয়েকজন বেকার যুবক এবং কয়েকজন ব্যবসায়ীর উদ্যোগে এই রেন্ট- এ- বাইকগুলো পর্যটকদের ঘন্টা হিসেবে ভাড়া দিয়ে থাকেন। কিন্তু বাইকগুলো ভাড়া দিতে এবং পর্যটকের সুবিধা দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক প্রদর্শন করার জন্য রাখার মত কোন জায়গা নেই। তাই যায়গা সংকটের কারণে অস্থায়ীভাবে রাখা হয় ডলফিন মোড় ফুটপাতের একপাশে। বাইক ব্যবসায়ীরা বলছেন এখানে পথচারীর কোন অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে না এসব বাইকগুলোর জন্য। কেননা বিশাল প্রশস্ততার কারণে এই ফুটপাতে জনচলাচল সবসময় স্বাভাবিক থাকে। এছাড়া আমরা বাইক গুলো পর্যটকের সুবিধার্থে ফুটপাতের একপাশে রাখি যেখানে জন- চলাচলের তেমন প্রয়োজন পড়েনা। যে জন্য এখানে ট্রাফিক জ্যাম এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হওয়ার কোন সুযোগ নেই। যদিও কখনো সরকারের বিশেষ প্রয়োজন হয় আমরা সরে যাব। এখানে সরকারি কোন কর্তৃপক্ষকে আমাদের মাসোহারা দিতে হয় না। যদি আমাদের এই ব্যবসার জন্য সংশ্লিষ্ট কোন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিচালনা করতে চাই তাহলে আমরা অন্তর্ভুক্ত হতে রাজি আছি। আজ পর্যন্ত এই যায়গাতে অস্থায়ীভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে সরকারি কোন কর্তৃপক্ষের প্রভাব না থাকলেও রয়েছে কয়েকজনের চাঁদাবাজি। শারীরিক নির্যাতন এবং ব্যবসা বন্ধের ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান সরকারি মালিকানার এই ফুটপাতে অস্থায়ীভাবে বসতে হলে পৃথকভাবে কয়েকটি গ্রুপকে মাসোহারা দিতে হয়। এসকল গ্রুপের দাবি এখানে বাইক রাখতে হলে যায়গা ভাড়া দিতে হবে। পরিবহন ভিত্তিক ভিন্ন গ্রুপ থাকলেও রেন্ট এ বাইক রাখার জন্য যায়গা ভাড়া দিতে হয় মিঠু সিন্ডিকেট কে। মধ্যম কলাতলী জহির সওদাগরের ছেলে শফিউল আলম লাকি এবং স্থানীয় কাউন্সিলর এর ভাই মিঠুর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা এই সিন্ডিকেটে টাকা না দিলে কোন মতে এখানে বাইক রাখা সম্ভব নয়। তাই মিঠু গ্রুপকে প্রতিটি বাইক বাবদ মাসিক এক হাজার করে টাকা দিতে হয়। এক-কথায় বলাচলে যতটুকু ফুটপাতে রেন্ট-এ-বাইক গুলো রাখা হবে এসব জায়গার যেন স্বঘোষিত মালিক এই মিঠু।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আমি এসবে জড়িত নয় এবং আপনার হাতে প্রমান থাকলে নিউজ করেন সমস্যা নাই বলে জানান মিঠু।
বাইকগুলো রাখা এবং অনুমোদন ও আর্তিক লেনদেনের বিষয়ে বিষয়ে জানতে চাইলে, ফুটপাতের পাশে গাড়ি না রাখতে সম্পূর্ণভাবে নিষেধ করা আছে। এবং এখানে অভিযানও চালানো হয়েছে। এসবের বিরুদ্ধে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা।