খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়িতে ফুলের চাহিদা থাকলেও চাষ নেই। দেশের অন্যান্য জেলা থেকে ফুল আমদানি করে খাগড়াছড়ি জেলার ফুলের চাহিদা পূরণ করা হয়। বিভিন্ন দিবসকে কেন্দ্র করে জেলায় বছরে ২০-২৫ লক্ষ টাকার ফুল বিক্রি হয়। বিশেষ করে ডিসেম্বর থেকে মার্চমাস পর্যন্ত ফুলের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে।
বিয়েশাদি, বিভিন্ন সামাজিক এবং রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে ফুলের ব্যাবহার সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও বিভিন্ন দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন জানাতে ফুল ব্যবহার হয়। অতিথি বরণ, কিংবা প্রিয় মানুষকেও ফুল উপহার হিসেবে দেওয়া হয়।
খাগড়াছড়িতে গোলাপ, জারবেরা, জিপসি, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা,বাসন্তী গাদা, চন্দ্র মল্লিকা, মাম, ডেইজি, বেলি, কাশি গাদা, লাল গাদা, সিলসিলা, হলুদ বুতাম ফুলের চাহিদা রয়েছে।
লেলি ফুল বিতানের মালিক মো. সেলিম জানান, বছরে ৭-৮ লক্ষ টাকার ফুল বিক্রি করেন তিনি। অন্য জেলা থেকে ফুল কিনে আনতে পরিবহনের খরচ বেশি পরে যায়। এছাড়া পরিবহনে আনতে গিয়ে অনেক ফুল নষ্ট হয়ে যায়।খাগড়াছড়িতে ফুলের চাষ হলে কম দামে ফুল পেতো গ্রাহকেরা। এছাড়াও এ খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতো। জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য যায়গায় বিক্রি করা যেতো।
পুষ্প বিতান ও সাজঘরের মালিক মো. জসিম উদ্দিন জানান, ১৪ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্র করে ৬০-৭০ হাজার টাকার ফুল বিক্রি হয়। এছাড়া সারাবছর বিভিন্ন দিবস পালন কেন্দ্র করে ৬-৭লক্ষ টাকার ফুল বিক্রি করেন তিনি। এখানে বিক্রি করার জন্য চট্টগ্রাম থেকে ফুল আনতে হয়। দুই দিন পর্যন্ত ফুলগুলো ভালো থাকে। অতিরিক্ত ফুল আনলে নষ্ট হয়ে যায়। কম পরিমাণ ফুল আনলে খরচ বেশি পরে।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মানিক জানান, সৌখিন কিছু নার্সারি সামান্য ফুলের উৎপাদন করে। বানিজ্যিক উৎপাদনে কৃষকদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ফুলের উন্নতমানের বীজ সরবরাহের প্রয়োজন। এখানকার মাটি বিভিন্ন ধরনের ফুল চাষে উপযোগী। ভবিষ্যতে ফুল চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করা হবে।