বিউটি বাহার: স্বাদেশের ছাত্রদের আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনের মধ্য দিয়ে সমগ্র দেশের দুর্নীতি বিরুদ্ধে গণজোয়ার উঠেছে। এতে বাদ যাচ্ছে না স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটি শিক্ষক প্রিন্সিপাল ও সহ উপদেষ্টা মন্ডলীরা।
এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম আমবাগান এলাকায় টাইগার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক রনি ওসিনিয়ার শিক্ষক আমেনা বেগমের পদত্যাগের দাবিতে গতকাল বুধবার স্কুল ঘেরাও করে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা।
এক প্রকার তারা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয় পদত্যাগ করা প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক রনি স্কুল সীমানায় প্রথমে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করেন মাছ চাষের ট্রেনিং হিসেবে সাড়ে চার হাজার টাকা নিতেন তিনি।এরপর সেখানে গড়ে তোলেন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি গার্মেন্টসের তৈরি করা পোশাক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের কিনতে বাধ্য করতেন তিনি সাথে সহধর্মিনী ও ছিলেন।
নিম্নমানেরও দাম বেশি রাখা নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিতেন মোজাম্মেল হক রনি এবং আমেনা বেগম আরো বড় অভিযোগ দশম শ্রেণীর টেস্ট পরীক্ষায় কোনো বিষয় কেউ ফেল করলে সেসব শিক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ করাতেন অর্থের বিনিময়ে। অনিচ্ছাকৃতভাবে উপস্থিত হতে না পারলে ২০০ টাকা করে নিয়ে ক্লাসে ফিরতে হতো অনেক ছাত্রছাত্রীদের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমনই অভিযোগ তুলে ধরেন স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র ছাত্রীরা বাধ্যতামূলক ভাবে কোচিং সেন্টার।
চাপ সৃষ্টি করে গরীব মেধাবীদের কাছ থেকেও নেওয়া হতো ৬০০ টাকা করে শেষে স্কুল আঙিনায় ঘর নির্মাণ করে মাস শেষে হাজার হাজার টাকা ভাড়া গুনতেন মোজাম্মেল হক রনি এভাবে নানা দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ করেছেন বলে অভিযোগ এছাড়া একই স্কুলের অনেক শিক্ষকের সঙ্গে নানা সময়ে ব্যবহার খারাপ করতেন তিনি ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক ও স্থানীয়দের তোপের মুখে পরে রনি এবং আমেনা বেগম পদত্যাগ করেন।সূত্রে জানা যায় তারা দুজনেই স্বামী-স্ত্রী। দীর্ঘদিন এই স্কুলে বহিভূতভাবে শিক্ষকতার আড়ালে প্রভাব বিস্তার করেছিলেন এ দম্পতি এই দুই দম্পতি পদত্যাগ করায় সকলেই খুশি।