শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন

খাগড়াছড়িতে অতিবৃষ্টিতে বন্যা সাজেক এবং লংগদু সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

দিগন্তের বার্তা ২৪ ডেস্ক : / ৭৯ বার পঠিত
আপডেট : মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০২৪, ৬:৩৪ অপরাহ্ণ

মোহাম্মদ শাহজাহান : খাগড়াছড়িতে গত পাঁচদিনের টানা বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। জেলা সদরের শব্দমিয়া পাড়া, মুসলিম পাড়া, শান্তি নগর, ফুট ভিল, মেহেদী বাগসহ নিচু এলাকার কয়েকশত ঘরবাড়ি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।

এছাড়াও জেলার দীঘিনালা উপজেলার কবাখালি, মেরুং ইউনিয়নের বিস্তীর্ন এলাকা পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পরেছে কয়েক হাজার লোক। দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সাজেক সড়কের কবাখালি এবং বাগাইহাট এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। মেরং স্টিল ব্রিজ এলকায় সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

আকস্মিক বন্যায় জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দং, তবলছড়ি এবং বর্ণাল ইউনিয়নের ফেনী নদীর পারের ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে আমন ধানের মাঠ। অতিরিক্ত পানিতে পুকুর তলিয়ে এবং পার ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাছ চাষিরা।

জেলার পানছড়ির চেঙ্গি ইউনিয়নের চেঙ্গি নদীর দুই পাশের ঘরবাড়িসহ ফসলি জমি ঢুবে গেছে।মহালছড়ির উপজেলার ২৪ মাইল এলাকা বন্যার পানিত তলিয়ে রয়েছে।

এছাড়াও অতিভারী বৃষ্টির কারনে জেলার কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে কোথাও বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

খাগড়াছড়ি সদরের শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা মো. ইসরাফিল জানান, মঙ্গলবার তিনটার দিক থেকে হঠাৎ করে পানি বাড়তে থাকে এবং ঘরে প্রবেশ করা শুরু করে। বর্তমানে ঘরের ভেতর হাটু পানি হয়ে গেছে। উপরের দিকে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় পানির চাপ রয়েছে এবং পানি বাড়ছে।

শব্দ মিয়া পাড়ার একাধিক বাসিন্দা জানান, দুপুরের পর থেকে পানি বেড়ে চলছে। এলাকাটির অধিকাংশ ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। চলতি মাসে কয়েকদিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় বার বন্যা হওয়ায় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আকস্মিক পানি বেড়ে যাওয়া ভোগান্তিতে পরেছে মানুষ।

খাগড়াছড়ি পৌরসভার কাউন্সিলর ও পেনেল মেয়র মো. শাহআলম বলেন,খাগড়াছড়ি পৌর এলাকায় ১৮ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যাকবলিত বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের সহায়তা করা হবে।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে জানান, দূর্যোগ নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন কাজ করছে। জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলার বন্যাদূর্গত এলাকাগুলোতে ৯৯ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ইতিমধ্যে দূর্গতদের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জেলায় ৫০০ মেট্রিকটন খাদ্যশস্য বরাদ্দ করা হয়েছে।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর