বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:০০ অপরাহ্ন

পল্লবীতে “জনছেদার” কাউন্সিলর সাজ্জাদ কে খুঁজছে জনগণ

দিগন্তের বার্তা ২৪ ডেস্ক : / ১৮১ বার পঠিত
আপডেট : শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৪, ২:২৭ অপরাহ্ণ

উত্তরা প্রতিনিধিঃ নিজ-আত্বীয় থেকে শুরুকরে প্রতিবেশিরাও রেহাই পায়নি সাবেক কাউন্সীলর সাজ্জাদ হসোনের কাছ থেকে।

রাজধানীর উত্তর সিটিকর্পোরেশন এর ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে প্লট দখল, ফুটপাত চাঁদা বাজি, টেন্ডার বাজি ও আঞ্চলিক নগর সুবিধার বিপরীতে নানাবিধ গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

পল্লবী থানার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন গত ১৫ আগস্ট ২০২৩ সালে খোলস পাল্টিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।
তার আগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল করার সময় তার বিরুদ্ধে এন্তার অভিযোগ রয়েছে। ফলে তাকে বিএনপি থেকে বহিস্কার করে।

সূত্রে জানা যায়, তিনি ঢাকা উত্তর মহানগরের পল্লবী থানা বিএনপির সভাপতি ছিলেন।সাবেক এই বিএনপি নেতার হঠাৎই আওয়ামী লীগ যোগদিয়ে এমপি ইলিয়াস মোল্লার সহচরে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে।

তার বাড়ির আসেপাসেই কয়েকটি ফুট পাত বাজার এর চাঁদা বাজির দ্বায়িত্বে রেখেছে তার আপন ছোট ভাই মোসারফ।খোঁজ নিয়ে জানা যায় চাঁদা না দিলে অথবা দিতে দেরি হলে মহিলা দোকানী দের সাথেও গালিগালাজ করে।

এবিষয়ে মোসারফ কে ফোন কলে পাওয়া যায়না।
তার যুবলীগ ছাত্রলীগের গুন্ডা বাহিনী দিয়ে এহেন তান্ডব চালাত এলাকায়।

তিনি ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হবার পরপর তার অফিসটি “জনছেদার”অফিসে পরিনত হয়েছে।

জনগণের কাছ হতে নানা অজুহাতে টাকা হাতিয়ে নিতেন। দখল বাজি করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন সাবেক এ-ই কাউন্সিলর।
সর্বশেষ তার বিরুদ্ধে এমপি ইলিয়াস মোল্লার হুকুমে ছাত্র- জনতার আন্দোলন দাবাতে কঠর ভুমিকা নিতে ছাত্র সমাজের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।

৫ আগষ্ঠ সৈরসরকার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলে এই কাউন্সিলর লাপাত্তা হয়ে যায়।
তবে জনমনে এখন আর ভয় নাই এক এক করে তাদের অন্যায়ের কৃতকর্মের জন্য মুখখুলছে জনগন।জনরসে পড়েছে কাউন্সিলর সাজ্জাদ।

জানা গেছে,তার আপন ভাতিজা পলাশ ও রেহাই পায়নি তার কবল থেকে জোর পূর্বক মারধর করে পলাশের দোকান প্লট দখল করেছিলো গুন্ডাবাহানী দিয়ে।

এবিষয়ে পলাশ বলেন। আমার চাচা বলে পরিচয় দিতে মাথা নিচু হয়ে আসে। আমি সহ এলাকার মানুষের রক্ত- চুষা কাউন্সিলর ছিলেন তিনি।

তবে কাউন্সিলর থাকা অবস্থায় সাজ্জাদ হোসেন শুধু জনগণেরই নয় প্রকৃতি ধংশে সিটি- কর্পোরেষন এর গাছ কেটে উজার করেছে। সামাজিক বনবিভাগের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সিটি- কর্পোরেশন এর শতাধিক গাছ কাটার অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী।

এবিষয়ে সামাজিক বণবিভাগে রেঞ্জ- কর্মকর্তা জনাব তারেক দি ক্রাইমকে বলেন, আমরা ভিজিট করবো আমাদের গাছ কোন অঞ্চলে কতো গুলি আছে সেটার হিসাব আমাদের আছে। কারও বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আসলে তা আমরা ব্যাবস্থা নেই।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর