উত্তরা প্রতিনিধিঃ জুলাই আগষ্টে ছাত্র- জনতার আন্দোলন দমাতে গুলি বর্ষণকারী পুলিশের তালিকায় ওসি গফফার। জানা গেছে ওসি গফফার থানা থেকে ডিবিতে যোগদান করার পরপরই উত্তরায় ডিবি হারুন চক্রের অত্যাচারী সদস্য হিসাবে পরিচিতি পান।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা আসার পর ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রেখে স্বৈরতান্ত্রিক মসনদ চালাতে শেখ হাসিনা পুলিশ প্রশাসনকে দলীয়করণ করতে সারাদেশে দলীয় ক্যাডার দিয়ে পুলিশ অফিসার নিয়োগের হিড়িক পরে। বিগত ১৫ বছরে এই প্রক্রিয়ায় নিয়োগ প্রাপ্ত অধিকাংশ পুলিশ অফিসার শেখ হাসিনার ক্ষমতার মসনদকে টিকিয়ে রাখতে মরিয়া পুলিশ অফিসার এর তালিকায় ওসি গফফার । নানা অনিয়ম ও অনৈনিক কর্মকাণ্ডের সম্পদের পাহাড় গড়েছে তারা। সেই সূত্রে ডিএমপির ওসি গফফার এর নাম আসে ক্ষমতাবান পুলিশ সদস্যের তারিকায়।
বিরোধী দলীয় নেতাদের দমন-পীড়ন ও আটক বাণিজ্য সহ প্রশাসনিক ক্ষমতাকে ব্যবহার করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে এই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ।
ক্রাইম এর অনুসন্ধানে জানা যায়, দক্ষিণ খান এলাকায় তিনি নিজেকে গোপালী পুলিশ বলে পরিচয় দিত। জানা গেছে তার গ্রামের বাড়ি মূলত নড়াইল লহাগড়া উপজেলাতে। সেখানে তিনি বিলাশ বহুল আলিশান প্রাসাদ নির্মান করেছেন।
অনুসন্ধানে উঠে আসে রাজধানীর দক্ষিনখান এলাকার জামতলা রোডে বসবাস কারী গফফার ওসির সম্পদের নানা চিত্র।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,এলাকায় ছেলে বুড়ো সবার কাছেই সে আতংক। কখনও বিল্ডিং বসবাসকারী অন্য ফ্লাটের বাসিন্দাদের কাছে, কখনও প্রতিবেশী, কখনও আশপাশের দোকানী, কখন বা রাস্তার পথচারী আবার কোন সময় অটো চালকদের কাছে ও ক্ষমতা দেখাতেন।
ওসি গফফার বাস করেন দক্ষিখান থানার গুলবার মুন্সী রোডের ডাইনের গলিতে।সেখানে রয়েছে তার একাধিক ফ্লাট।গফুর মুন্সি রোডে একটি প্লট ও বাটাফ্যাক্টরি মোডে দুটি প্লট ।
জামতলা রোডে ২ টি ফ্লাট রয়েছে তার। এছাড়াও লহাগড়ায় রয়েছে প্রচুর সম্পত্তি। যা সে চাকুরীকালীন সময় অনৈতিক সুবিধা নিয়ে অর্জন করেছে। দক্ষিন খান এলাকার তার এক প্রতিবেশী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সর্তে জানান,তার বড় ছেলে মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত। তার ছেলে মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন অটোড্রাইভার, দোকান্দারদের ধরে বাসার নীচতলায় টার্চার সেলে নিয়ে চাদা দাবী করে। এক অটোড্রাইভারকে ধরে ৪০০০০ টাকা নিয়েছে।
গত ৫ ইং আগষ্টে সরকার পতনের পর এলাকার ছাত্র জনতা খোবের রোশানলে তার বাসায় আগুন ধরিয়ে দেয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে ওসি গফফার বাসায় থাকলেও বাসার ছাদে পানির টাংকিতে মধ্যে পালিয়ে ছিলেন।
পাশের বিল্ডিং এ বসবাস করে এমন একজন তাকে পানির টাংকি থেকে বেড়িয়ে যেতে দেখেছেন বলে নাম না প্রকাশের শর্তে আমাদের ঐ প্রতিনিধি জানান।এই সময় পর পর বেশ কয়েকদিন তার বাসায় হামলা চালায় ছাত্র জনতা ।হামলা থেকে বাচতে নেন ভিন্ন কৌশল।
আরো জানা যায় আত্মগোপনে থাকা এই পুলিশ অফিসার প্লটগুলি বিক্রয় করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বর্তমানে তার স্ত্রী এবং বড়ো ছেলে আবির প্লট গুলি বিক্রয় করার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। পুলিশ অফিসার গফফারের সহধর্মীর সাথে এইসব তথ্য জানা যায়। তবে তার বড় ছেলে আবির বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট
আমি মানহানি মামলা করবো।