সেনবাগ (নোয়াখালী)প্রতিনিধি:ছোট ভাইয়ের সুন্নতে খতনার অনুষ্ঠান, বাড়ি ভর্তি মেহমান,আনন্দ উৎসবে মুখরিত পুরো বাড়ি,অনুষ্ঠানের জন্য জবাইকৃত গরুর হাড় সহ কিছু জিনিস নানার বাড়িতে ফ্রিজে রেখে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলো ভাগিনা জিহাদ ও মামা জাহিদুল।
পথিমধ্যে দূর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হলো ভাগিনা জিহাদ(১৭),গুরুতর আহত মামা জাহিদুল ইসলাম, এ খবর বাড়িতে পৌঁছাতেই মুহুর্তে পুরো উৎসব মুখর বাড়িতে নেমে এল বিষাদের ছাপ। আত্মীয় স্বজন ও বাড়ির লোকজনের কান্নায় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১১ টার দিকে সেনবাগ-সোনইমুড়ী সড়কের কাদরা ফায়ার সার্ভিসের পাশে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মোঃ জিহাদ পৌর শহরের উত্তর অর্জুনতলা আবদুল আজিজের ছেলে।
আহত মামা জাহেদুল ইসলাম উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নের তারা বাড়ীয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।
স্থানিয় লোকজন জানায়, সকালে মামা জাহেদুল ইসলাম ও ভাগিনা মোঃ জিহাদ এক সাথে মোটরসাইকেল নিয়ে নানার বাড়ি থেকে নীজবাড়ী পৌর শহরের উত্তর অর্জুনতলা যাওয়ার পথে সেনবাগ-সোনইমুড়ী সড়কের কাদরা ফায়ার সার্ভিসের উত্তর পাশে যাওয়া মাত্রই বিপরিত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকটর সামনে এসে পড়লে গাড়ীকে সাইড দেওয়ার সময় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ট্রাকটরের সাথে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়,এ সময় ভাগিনা মোঃ জিহাদের পেটে মোটরসাইকেলের একটি রড ঢুকে যায়, মামা ভাগিনা দু’জনেই আহত হয়।
এসময় আাশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্বার করে সেনবাগ সরকারী হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভাগিনা মোঃ জিহাদ কে মৃত ঘোষনা করে। গুরুতর আহত মামা জাহেদুল ইসলামকে মমূর্ষ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। খবর পেয়ে সেনবাগ থানার এস আই মোজাম্মেল হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্বার করে। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে সারা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
এবিষয়ে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম মিজানুর রহমান জানান, খবর পেয়ে সেনবাগ থানা পুলিশ লাশ উদ্বার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে পরিবারের সদস্য ও স্থানিয় লোকজন থানায় উপস্থিত হয়ে লাশের বিষয়ে কারো কোন অভিযোগ না থাকায় পরিবারের সদস্যদের কাছে লাশ হস্থান্তর করা হয়।