রাজনীতি ডেস্ক:-শতাধিক পণ্য ও সেবায় শুল্ক ও কর বাড়ানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, এতে আগের সরকারের রেখে যাওয়া ভঙ্গুর অর্থনীতিকে স্থিতিশীলতার দিকে ফেরানো যাবে।
এমন পদক্ষেপে সরকারের অজনপ্রিয় হওয়ার প্রশ্ন নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, বরং দেশের আর্থিক স্বাস্থ্য যাতে ঠিক থাকে সেদিকেই লক্ষ্য রাখছে সরকার।
এ প্রক্রিয়ায় আর্থিক স্বাস্থ্য শক্তিশালী হবে, ডলারের বিনিময়ে টাকার মূল্যমান স্থিতিশীল থাকবে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে মনে করছেন তিনি।
রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ানো এবং গ্যাসের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে বেশি প্রশ্ন করেন।
উচ্চ মূল্যস্ফীতির এ সময়ে ওষুধ, বিস্কুট, পোশাক কেনাকাটা, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, মোবাইলে ফোনের সিম ব্যবহারের মত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবাসহ শতাধিক পণ্য ও সেবায় গত বৃহস্পতিবার শুল্ক, কর ও ভ্যাট বাড়ায় সরকার।
চলতি অর্থবছরের মাঝপথে এসে আইএমএফের চাপে মূল্য সংযোজন কর-ভ্যাট, সম্পূরক ও আবগারি শুল্ক বাড়ানোর ফলে এসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এ দিনের সংবাদ সম্মেলনে আইএমএফের চাপের কারণেই ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে, গ্যাসের দামও বাড়ানো হচ্ছে। এসব সিদ্ধান্তে মানুষের কষ্ট বাড়বে এবং নতুন বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে কি না? এমন প্রশ্ন ছিল অনেকের।
এর উত্তরে প্রেস সচিব বলেন, “আমাদের ম্যাক্রো ইকোনমিক স্ট্যাবিলিটি খুব দরকার। ম্যাক্রো ইকোনমির স্ট্যাবিলিটির জন্য ট্যাক্স-জিডিপির রেশিওটা বাড়াতে হবে। এটা এমন জায়গায় চলে গেছে যে সেটা আর সাসটেইনেবল না। পাঁচ মাসে রেভিনিউ শর্টফল হয়েছে ৪২ হাজার কোটি টাকা।