বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৪৭ অপরাহ্ন

বান্দরবানে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড।

দিগন্তের বার্তা ২৪ ডেস্ক : / ১৩ বার পঠিত
আপডেট : বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ

কে এইচ মহসিন বান্দরবান: বান্দরবানে দীর্ঘ চার বছর পর গর্ভবতী স্ত্রীকে হত্যার দায়ের স্বামী মো: হায়দার আলী (৩২)কে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ের আরও ২ মাসে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

 ১৪ জানুয়ারী (মঙ্গলবার) সকালে আসামীকে আদালতে তোলা হলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরুণ পাল এই আদেশ দেন। দন্ডপ্রাপ্ত হায়দার আলী রাঙামাটির রাইখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের খন্তাকাটা গ্রামের মৃত লতিফুর রহমানের ছেলে।

 

এজাহারে বলা হয়, গত সাতমাস আগে নিহত রুপা আক্তারকে বিয়ে করেন দন্ডপ্রাপ্ত আসামী মো: হায়দার আলী। বিয়ের পর শাশুর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। পরে স্ত্রীকে নিয়ে চাচির বাড়িতে বেড়াতে যাবে বলে বের হয়ে হায়দার ও তার স্ত্রী রুপা। সন্ধায় পেরিয়ে এলেও বাড়িতে না ফিরায় পরিবারে লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে।

২০২১ সালে ৮ আগষ্ট দুপুরে গলাচিপা মুসলিম পাড়া এলাকা থেকে মুখ ও হাত বাঁধা অবস্থায় সড়কের পাশে ঝোপে অজ্ঞাত লাশ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী পরিবার মরদেহটি সনাক্ত করে সদর হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করেন। পরে মেয়েকে হত্যার দায়ে থানায় মামলা করেন। সাক্ষ্যগ্রহন শেষে হত্যা প্রমানিত হওয়াই ৩০২ ধারা আইন অনুযায়ী আসামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। নিহতের পিতা নুরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ৪ বছর পর আমার মেয়েকে হত্যার করার দায়ের আসামীকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। এতে আমি খুশি। জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর মো: আলমগীর চৌধুরী বলেন, আসামীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের পর সত্য প্রমাণিত হওয়াই ও স্বীকারোক্তি জবানবন্দি শেষে আসামীকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।জেল ও কারাগারে দ্বায়িত্বরত এস আই মো. উজ্জ্বল হোসেন বলেন, হত্যার দায়ের আসামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। সবকিছু শেষে আসামীকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর