সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫০ পূর্বাহ্ন

এবার ইউক্রেনের বন্দর চাইছে পোল্যান্ড

দিগন্তের বার্তা ২৪ ডেস্ক : / ৪ বার পঠিত
আপডেট : রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- রাশিয়ার সামরিক পরাক্রমের সামনে বিধ্বস্ত ইউক্রেনের নিজস্ব সম্পদের ওপর শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, এখন নজর পড়েছে ইউরোপেরও। পোল্যান্ডের কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন উপমন্ত্রী মিশাল কোলোডজিজ্যাক বলেছেন, শস্য পরিবহনের জন্য ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগরের বন্দর ওডেসার একটি অংশ আমাদের অধিগ্রহণ করা উচিৎ।

গম, ভুট্টা ও সূর্যমুখী তেল রপ্তানির জন্য পৃথিবীব্যাপী একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ওডেসা। ১৭৯৪ সালে তুর্কি দুর্গের স্থানে রাশিয়ান সাম্রাজ্য বন্দরটি প্রতিষ্ঠা করে।

ইউক্রেনীয়দেরকে ওডেসা বন্দরের একটি ঘাট বিক্রি করা বা ৫০ বছরের জন্য বন্দরটি লিজ নেওয়ার প্রস্তাব করতে চান পোলিশ মন্ত্রী। তিনি চাইছেন, পোল্যান্ডের একটি নিজস্ব শস্য বন্দর থাকুক।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) পোলস্যাট নিউজকে তিনি এসব কথা বলেন।

মিশাল কোলোডজিজ্যাক আরও বলেন, ওডেসায় এমন একটি জায়গা পাওয়া যেতে পারে, যেখানে পোলিশ ও ইউরোপীয় শস্য পরিবহন করা হবে।

এভাবে কৃষ্ণ সাগরে পোল্যান্ড তার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে চায়। তার পরামর্শ, দক্ষিণ-পূর্ব পোল্যান্ড থেকে শস্য রপ্তানির জন্য বন্দরটি ব্যবহার করা যেতে পারে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ইউক্রেনের যোগদানের পক্ষে নন উপমন্ত্রী মিশাল। তিনি বলেন, আমি ‘ভয়’ পাচ্ছি। কারণ এর পরে কি হবে তা কেউ জানে না। ইউক্রেন যদি ইইউ-তে যোগ দেয়, তাহলে দেশটির নাগরিকদের ১০ বছরের জন্য পোলিশ কৃষিতে বিনিয়োগ করা থেকে নিষিদ্ধ করা উচিত।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ব্লকে যোগদানের জন্য ইউক্রেন আবেদন করে। ব্রাসেলস ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদানের আলোচনা শুরু করে।

রাশিয়া বারবার ওডেসা বন্দরের অবকাঠামোতে আঘাত হেনেছে। কারণ হিসেবে দেশটি বলে, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী জলপথটি আত্মঘাতী ড্রোন হামলার জন্য ব্যবহার করছে।

২০২২ সালের জুলাই মাসে ইউক্রেনের বন্দর থেকে শস্য জাহাজের নিরাপদ যাতায়াতের অনুমতি দেওয়ার জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেন জাতিসংঘ সমর্থিত একটি চুক্তিতে পৌঁছায়। তবে পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে রাশিয়া ২০২৩ সালে ওই চুক্তি থেকে সরে আসে।

রাশিয়া গত মাসে বলেছিল, পশ্চিমারা খাদ্য ও সার রপ্তানিতে জড়িত ব্যাংক ও কোম্পানিগুলোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলে তারা চুক্তিতে ফিরে আসবে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির পদক্ষেপ হিসেবে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে একটি সামুদ্রিক যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করছে।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর