জাতীয় ডেস্ক:- বাংলাদেশের ৫৫তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডনের আয়োজনে কেনসিংটনে অবস্থিত কপথ্রন তারা হোটেলে যথাযোগ্য মর্যাদায় এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রোববার (৬ এপ্রিল) লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন এ তথ্য জানায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের ইন্দো -প্যাসিফিক বিষয়ক মন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্ট এমপি। অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে ছিলেন আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থার মহাসচিব আর্সেনিও ডমিনগেজ, কমনওয়েলথের মহাসচিব শার্লি আইয়র্কর বটচওয়ে, ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য এবং হাউজিং, কমিউনিটি ও স্থানীয় সরকার বিষয়ক পার্লামেন্টারি আন্ডার-সেক্রেটারি রুশনারা আলী এমপি, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি এবং ব্রিটিশ-বাংলাদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
অনুষ্ঠানটি শুরু হয় বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে।
হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম তার বক্তব্যে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি একই সঙ্গে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের প্রতিও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
তিনি একই সঙ্গে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের প্রতিও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
হাইকমিশনার বাংলাদেশে সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, শান্তি প্রতিষ্ঠায় অব্যাহত প্রচেষ্টা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে চলমান রাজনৈতিক রূপান্তরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
তিনি বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য অংশীদারিত্বকে বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন, সংস্কৃতি এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একইসঙ্গে, ১.২ মিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থীর নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথি ক্যাথরিন ওয়েস্ট এমপি তার বক্তব্যে সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের তরুণদের কর্মসংস্থান, উদ্যোক্তাবৃত্তি, জলবায়ু সহনশীলতা এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে যৌথভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক রূপান্তরের প্রতি যুক্তরাজ্য সরকারের চলমান সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং মানবিক চাহিদা ও টেকসই উন্নয়নের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে, উভয় দেশের জন্য একটি সমৃদ্ধ ও টেকসই ভবিষ্যতের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্জন ও সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়। এছাড়াও, বাংলাদেশের প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী ফাহমিদা নবী পরিবেশন করেন একটি দেশাত্মবোধক গান, যা দর্শকদের মুগ্ধ করে। পরিশেষে, উপস্থিত অতিথিদের জন্য ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবার পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।