আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- হিন্দুদের ধর্মীয় ট্রাস্টে মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে কিনা, প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার (১৬ এপ্রিল) ওয়াকফ আইন নিয়ে চলমান এক মামলার শুনানিতে এই প্রসঙ্গ ওঠে।
কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবীর কাছে আদালত সরাসরি জানতে চায়—যদি ওয়াকফ কমিটিতে অমুসলিম সদস্য থাকতে পারে, তবে হিন্দু এনডাওমেন্ট বোর্ডে মুসলিম সদস্য রাখা হবে কিনা?
আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী কপিল সিব্বাল বলেন, ওয়াকফ কমিটিতে অমুসলিম সদস্য রাখা ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপের শামিল।
এর পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, কমিটিতে কিছু পদাধিকার বলে থাকা সদস্য ছাড়া দুজন অমুসলিম সদস্য রাখা হবে, তবে মুসলিমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবেন।
এই উত্তরে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বলেন, তাহলে এখন থেকে কি মুসলিমদের হিন্দু এনডাওমেন্ট বোর্ডেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে?
শুনানিতে আরও আলোচনায় উঠে আসে ‘ওয়াকফ-বাই-ইউজার’ অর্থাৎ দীর্ঘকাল ব্যবহার হওয়ায় ওয়াকফ ঘোষিত সম্পত্তির বৈধতা সংক্রান্ত ইস্যু।
সুপ্রিম কোর্ট জানতে চান, যথাযথ নথি না থাকলেও কীভাবে এ ধরনের সম্পত্তি নিবন্ধন করা হচ্ছে।
প্রধান বিচারপতি এ প্রসঙ্গে বলেন, এই পদ্ধতির অপব্যবহার হয়েছে এবং এমন ওয়াকফ বাতিল করলে ভবিষ্যতে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
আবেদনকারী পক্ষের আরেক আইনজীবী হুজেফা আহমাদি বলেন, ওয়াকফ-বাই-ইউজার একটি প্রতিষ্ঠিত ইসলামী রীতি, তাই এটি বাতিল করা উচিত নয়।
তবে কপিল সিব্বাল যুক্তি দেন, সংশোধিত আইনে শুধুমাত্র মুসলিমদের ওয়াকফ ঘোষণার ক্ষমতা থাকা অসাংবিধানিক।
মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য হয়েছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ২টায়। এদিন সুপ্রিম কোর্ট সব পক্ষের বক্তব্য শুনে প্রস্তাবিত অন্তর্বর্তীকালীন রায় ঘোষণা করবে।