আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- ইসরায়েলের প্রধান ও বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বেন গুরিয়ন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) এ হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেছেন হুতি গোষ্ঠীটির মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি।
তিনি অবশ্য বিমানবন্দরে সরাসরি হামলার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেননি।
তিনি বলেন, বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের কাছে ‘একটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে’ জুলফিকার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।
শুধু বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরেই নয়; এদিন লোহিত সাগর ও আরব সাগরে টহলরত মার্কিন এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার জাহাজ লক্ষ্য করেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হুতি।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের একটি এমকিউ-৯ ড্রোন ভূপাতিতও করার দাবি করেছেন হুতি গোষ্ঠীর এই মুখপাত্র।
ইয়েমেন এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এমন এক সময় চালালো, যার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনের উপকূলীয় হুদায়দা শহরের কয়েকটি বন্দরে বিমান হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ৮০ জন নিহত এবং ১৭১ জন আহত হয়েছেন।
ওই হামলার জবাবেই ইয়েমেনি বাহিনী এই সমন্বিত সামরিক অভিযান চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিবৃতিতে ইয়াহইয়া সারি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি হামলা অব্যাহত রাখে তাহলে পাল্টা হামলা, সংঘাত ও সংঘর্ষের পরিমাণও বাড়বে, কমবে না। ’
এদিকে বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তথ্যটি নিশ্চিত করেছে টাইমস অব ইসরায়েল। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো বিমানবন্দরে আঘাত হানতে পারেনি। ইসরায়েলি বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্রটি আকাশেই প্রতিহত করেছে।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে হুতিরা লোহিত ও আরব সাগর, বাব আল-মান্দাব প্রণালি এবং আদেন উপসাগর দিয়ে যাতায়াতকারী জাহাজগুলোতে হামলা চালিয়ে আসছে।
যে কারণে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্চের মাঝামাঝি সময়ে হুতি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘ শক্তিশালী সামরিক পদক্ষেপ’ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং পরে তাদের সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করার হুমকি দেন।
তবে জানুয়ারিতে গাজায় ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর হামলা বন্ধ করে দেয় হুতিরা। কিন্তু গত মাসে যুদ্ধবিরতি চুক্তি না মেনে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় ফের হত্যাযজ্ঞ শুরু করলে পুনরায় হামলা শুরু করে গোষ্ঠীটি।