স্টাফ রিপোর্ট মুন্নি আক্তারঃগাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন ৩৫ নং ওয়ার্ডে পূর্ব কলমেশ্বর এলাকায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে ছোট মেয়ে শাহনাজের ভাড়া বাসায় বেড়াতে এসে খুন হলেন মা বানু বেগম।
সেই চাঞ্চল্যকর হত্যার ঘটানার ৫ দিনের মাথায় মূল হোতা এমরান মিয়া (২২)কে গ্রেফতার করে খুনের রহস্য উদঘাটন করেছে গাছা থানা পুলিশ।ভিকটিমের ছেলে মোঃ শাহাদাত হোসেন থানা এসে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন,মামলা নং -৩৬
মামলার সূত্র ধরে উপ-পুলিশ কমিশন অপরাধ দক্ষিণ মোঃ মাহবুব উজ-জামান এর নির্দেশে গাছা থানার সুদক্ষ অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইব্রাহিম হোসেন পিপিএম এর নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চৌকস পুলিশ অফিসার এসআই এহসানুল হক,এসআই মোঃ সাখাওয়াত হোসেনসহ সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় আসামি এমরানকে আটক করতে সক্ষম হয়।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে গাছা থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জিএমপি অপরাধ দক্ষিণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হাফিজুল ইসলাম এ তথ্য জানান। হাফিজুল ইসলাম বলেন, বানু বেগম নরসিংদী গ্রামের বাড়ি থেকে গাজীপুর মহানগরের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব কলমেশ্বরে ছোট মেয়ে শাহনাজের ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসেন।
বানু বেগমের প্রথম সংসারের বড় মেয়ে রহিমা আক্তার সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত (২৬ আগস্ট) জুসের সাথে চেতনানাশক দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে শয়ন কক্ষে খাটে শায়িত অবস্থায় রেখে, বাজার করার অজুহাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে ঘর থেকে বাহির হয়ে যায়।
এ সময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রহিমার পালক ছেলে এমরান ঘরে ঢুকে ব্লেড দিয়ে অচেতন বানুর গলা কেটে হত্যা করে দ্রুত পালিয়ে যায়। গাছা থানা পুলিশ সোর্স নিয়োগ করে ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে এমরানকে নরসিংদী জেলার শিবপুর থানার কারারচর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।এমরানকে জিঙ্গাসাবাদের সে এই নাটকীয় হত্যাকান্ডের কাহিনী বলতে থাকে।সে কিভাবে এই হত্যাকান্ডটি ঘটালোএবং কার নির্দেশে ঘটায়। লোমহর্ষক হত্যা কান্ডের ঘটনা শোনার পর তাকে আদালতে হাজির করা হলে সে বানু বেগমকে খুন করার দায় স্বীকার করে আবারও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় ও দোষ ক্ষীকার করে।এ ছাড়াও এমরানের বিরুদ্ধে নরসিংদীতে বিভিন্ন মাদক, ছিনতাই,চুরি, নারী ব্যবসা সহ একাধিক মামলা রয়েছে। এ খুনের পরিকল্পনাকারী রহিমা পলাতক রয়েছে,তাকে অতি দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে।রহিমাকে গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে। প্রেসব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ মাকসুদুর রহমান, অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইব্রাহিম হোসেন পিপিএম ও ইন্সপেক্টর (তদন্ত) নন্দলাল চৌধুরী। প্রেস ব্রিফিংএ আরোও বলেন গাছা থানা এলাকায় চুরি ডাকাতি ছিনতাই কিশোর গ্যাং চোরাই মালামাল ক্রয় বিক্রয় সহ যে কোন দূষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে সব সময় অভিযান অব্যাহত আছে এবং থাকবে।