সেনবাগ(নোয়াখালী) প্রতিনিধি:নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার সর্বত্র দিনে রাতে পাল্লা দিয়ে চলছে অসহনীয় লোডশেডিং।এতে বিঘ্নিত হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া।
ব্যহত হচ্ছে ব্যবসা বাণিজ্য,তীব্র গরমে হাসফাস করছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা,রাতে বিদ্যুৎতের আসা যাওয়ার খেলায় বিঘ্নিত হচ্ছে পর্যাপ্ত ঘুম,এতে অনেকেই খিটখিটে মেজাজ ও নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এতে দিন দিন ক্ষুব্দ হয়ে উঠছে গ্রাহক,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিনিয়তই প্রকাশ পাচ্ছে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ, লোডশেডিংয়ের বিরুদ্ধে ফেইসবুকে সরব দেখা যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের অনেক সমর্থক কে ও।প্রতিদিনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে ডিজিএম এর অপসারণের দাবি।এতেও অবস্থার কোন পরিবর্তন দেখা না যাওয়ায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সেনবাগে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে প্রায় ২২ মেঘাওয়াট,দীর্ঘ দিন থেকেই সেনবাগে চাহিদার তুলনায় অনেক কম বিদ্যুৎ বরাদ্ধ দেয়ায় চলছে অসহনীয় লোডশেডিং, এর মধ্যে বিগত কিছুদিন পূর্বে কয়লা সংকটে কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লোডশেডিং চরমে ওঠে। এরপর এ সংকট কাটিয়ে উঠার পর অল্প কিছু দিন লোডশেডিং কিছুটা উন্নতি হলেও বর্তমানে অস্বাভাবিক ভাবেই বেড়ে গেছে।
এ অবস্থার জন্য সেনবাগের ডিজিএমের অদক্ষতাকেই দায়ী করে তার অপসারণ দাবি করছেন হাজার হাজার গ্রাহক।
এছাড়া এত লোডশেডিংয়ের পর ও মাস শেষে পূর্বের চেয়ে অনেক বেশি বিদ্যুৎ বিল আসায় ক্ষোভের মাত্রা আরো বেড়ে যাচ্ছে গ্রাহকদের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেনবাগ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এলাকা পরিচালক আশরাফুল আলম রানা বলেন আমাদের চাহিদার তুলনায় বরাদ্ধ অনেক কম দেয়ায় এ অবস্থা হচ্ছে,আমরা চেষ্টা করছি অবস্থার উন্নতি করার জন্য,তিনি এ সময় গ্রাহকদের ধৈর্য ধরার অনুরোধ করেন।
জানতে চাইলে সেনবাগ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মোস্তফা আমিনুর রাশেদ জানান,সারাদেশেই এ অবস্থা, আমার কিছুই করার নেই, চাহিদার বিপরীতে পর্যাপ্ত বরাদ্ধ না পাওয়ায় এ লোডশেডিং করতে হচ্ছে,তবে দিনের বেলায় এখন লোডশেডিং অনেক কম হচ্ছে, তবে রাত ১১ টার পর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত বরাদ্ধ একেবারেই অপর্যাপ্ত বরাদ্ধ পাওয়ায় রাতে আমাদের বাধ্য হয়েই লোডশেডিং করতে হচ্ছে।তারপরও আমরা চেষ্টা করছি পরিস্থিতির উন্নতি করার।