কামরুল হাসানঃ- চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে তালাবদ্ধ ঘর থেকে এক সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত মোঃ জাফরউল্লাহ ভূইয়া (৫০) ফেনী সদর থানার ৯নং লেমুয়া ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন বলে জানা গেছে। তিনি ওই এলাকার নারায়ণপুর গ্রামের নুরুল হক ভূঁইয়ার ছেলে।
রবিবার ( ২২ অক্টোবর) রাতে মিরসরাইয়ের নিজামপুর কলেজ সম্মুখে একটি মার্কেট থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। মিরসরাই থানা পুলিশ লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাফরুল্লাহ ভূঁইয়া অনলাইন ভিত্তিক পন্য বেচাকেনার কাজ করতেন।অনলাইনে অর্ডারকৃত পন্য মিরসরাইয়ের গ্রাহকদের সরবরাহের সুবিধার্থে নিজামপুর কলেজের সামনে একটি মার্কেটের দোতলায় দোকান ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তার ভাড়া বাসার নিচে স্থানীয় রবিউলের চায়ের দোকানে নিয়মিত নাস্তা করতেন ও লোকজনের সাথে আড্ডা দিতেন। কিন্তু গত দুইদিন ধরে জাফরউল্লাহ রবিউলের চায়ের দোকানে না যাওয়ায় স্থানীয়রা জাফরুল্লাহকে খোঁজার জন্য তার বাসায় গেলে সবাই দেখতে পান বাসার বাইরে তালা লাগানো আছে। জাফরুল্লাহকে অনেক ডাকাডাকির পর তার কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে বাড়ির মালিক ও অন্যান্যরা তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে দেখেন জাফরুল্লাহ মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। জাফরুল্লাহ কে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তার পরিবার ও নিজামপুর পুলিশ ফাঁড়িতে খবর পাঠায়।
জাফরুল্লাহর ভাই এনামুল হক জানান, রবিবার রাত সাড়ে আটটায় ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে ফেনী থেকে ঘটনাস্থলে চলে আসি। এসে দেখতে পাই ভাইয়ের মৃতদেহ তার কক্ষের ফ্লোরে উপড় হয়ে পড়ে আছে। নাকে ও মুখে রক্তের দাগ রয়েছে। ভাইয়ের উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ সহ শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা ছিল তাই হয়তো কোন কারনে তার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের প্রাথমিক সুরত হাল শেষে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিলেও পরবর্তীতে গ্রিলের তালা ভাঙ্গার কারণে সন্দেহ দূর করার জন্য পোস্টমর্টেম করতে মর্গে পাঠায়। তবে প্রাথমিক সুরতহালে নাকে মুখে রক্ত ছাড়া শরীরের অন্য কোথাও জখমের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন জানান, মৃত ব্যক্তি তিন বছর যাবত নিজামপুর এলাকায় বসবাস করছেন। যেহেতু তালাবদ্ধ ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় মৃতদেহ পাওয়া গেছে তাই সন্দেহ দূর করতে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসলে নিশ্চিত হতে পারবো মৃত্যুর কারণ।