বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ১১:২০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে বার খুলে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করেনা যুবলীগ নেতা মামুন

দিগন্তের বার্তা ২৪ ডেস্ক : / ১৬৩ বার পঠিত
আপডেট : মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:০৩ অপরাহ্ণ

ইজাজুল উত্তরা প্রতিনিধিঃ উত্তরায় স্কুল -লাগোয়া মদের বারে চলছে রাতভর রমরমা মদব্যাবসা। রাজধানীর মেগা সিটি উত্তরার ১৪ নং সেক্টরে ৫৫ গাউসুল আজম এভিনিউ চতুর্থ ফ্লোরে ক্যাম্প ফায়ার নামক একটি বার নীয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই ব্যাবসা পরিচালনা করছে।

খোঁজনিয়ে জানা যায়, উত্তরার মেগা সিটির প্রান কেন্দ্র গাউসুল আজম এভিনিউ এলাকায় ঢাকা উত্তর মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পলাতক মামুন সরকার রাজনৈতিক মহলের দাপটে মাস্টার মাইন্ড স্কুল নামক শিক্ষা প্রতিষ্টানের লাগোয়া স্থানে গুন্ডামী শক্তির উপর ভর করে কোটি টাকার মদ বানিজ্য করে।

গাউসুল আজম এভিনিউ এলাকায় দি ক্রাইমের অনুসন্ধানে দেখা গেছে বারটি থেকে এক বিন্ডিং পাশে উত্তরার সুনাম ধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাস্টার মাইন্ড স্কুল। পর্ব- পশ্চিম ও উত্তর -দক্ষিন ১০০ গজ এর কম বা বেমি আয়তনের মধ্যে একাধিক মসজিদ শরীফে আজান হয়।
তথ্য সুত্রে জানা যায়, বারটিতে অ্যালকোহল বা মদ উৎপাদন, কেনাবেচা, পান করা, পরিবহন, আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে নিয়মনীতি তোয়াক্কা করেনা যুবলীগ নেতা মামুন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের নিবর্হী আদেশে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮’ এর আওতায় সরকারের বিধিমালার বিপরীদে যুবরীগের গুন্ডা তন্ত্রে রাজত্ব-কায়েম করছে বারটিতে। জানা গেছে ঐ পলাতক যুবলীগ নেতা তার পাটনার দিবে বর্তমানে বারটি পরিচালনা করছে।

সর্বশেষ ছাত্রজনতার- আন্দোলন দাবাতে গুন্ডা মামুন সরকার ঐ বারে বসেই ছাত্রজনতাকে আক্রমনের নীল নকশা আকা করছিলো।
নারকোটিকস এর বিধিমালা ২০২৪ মুসলিম প্রহিবিশন রুল ১৯৫০’ ও ‘ এক্সাইজ ম্যানুয়াল ( ভল্যুম-২) স্থান গত বিষয় বিবেচনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে বা মসজিদ লাগোয়া স্থানে বার পরিচালনা করা যাবেনা।

তবে ধর্মীয় মসজি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে বার প্রশঙ্গে নারকোটিকসের ঢাকা মেট্রো-উত্তর উপপরিদর্শক শামীম আহম্মেদ দি ক্রাইমকে বলেন, আপনি একটি লিখিত অভিযোগ দেন
এ ধরনের অভিযোগ অবশ্যই পরিদর্শন করে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে,তবে ফোনে পাওয়া যাচ্ছেনা গুন্ডা মামুন কে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কোটিপতি ঘরের বিলাশ বহুল ধনাট্য পরিবারের শিক্ষার্থীরাই ঐবারের খদ্দের।

রাতভর অশ্লিলতায় মদ ও মেয়ে দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। তারা নিয়ম না মেনে শুক্র বারেও বার খোলা রাখে।

শুক্রবার, মহররম, শবে বরাত, ঈদে মিলাদুন্নবী, শবে কদর, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা এবং সরকার নির্ধারিত দিনে অফ শপ, অন শপ ও দেশি মদের দোকান বন্ধ রাখার বিধান রেখে বিধিমালা হয়েছে।

বিধিমালা অনুযায়ী, মদের বার বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। তবে লেট ক্লোজিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে রাত ২টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। যুবলীগ নেতা মামুন সরকারে আরও তিন জন শেয়ার আছেন যাদের পরিচালনায় বর্তমানে
কেম ফায়ার বার টি পরিচালিত হচ্ছে।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর