রাজনীতি ডেস্ক:-হেলিকপ্টার থেকে গুলি, মৃত মানুষকে পুড়িয়ে মারাসহ নানা অত্যাচারে-নির্যাতনে আল্লাহর আরশ কেঁপেছে, মানুষের মন কেঁদেছে কিন্তু শেখ হাসিনার হৃদয় কাঁপেনি। বরং কোটা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্রদের ‘রাজাকার’ বলে শেখ হাসিনা দাম্ভিকতা দেখিয়েছেন।
হাসিনার সেই দাম্ভিকতাই তার পতনের কারণ হলো।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জুলাই ২০২৪ বিপ্লবের শহীদ স্মারকের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হল থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে উদ্বোধনী বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য খুলনা মহানগরীর সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলালের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও খুলনা জেলা আমির মাওলানা এমরান হুসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও বাগেরহাট জেলা আমির মাওলানা রেজাউল করীম, খুলনা আলিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. মুফতি মাওলানা আব্দুর রহিম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক নির্বাহী সদস্য ও মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার সাবেক সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আলাউদ্দিন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও খুলনা মহানগরীর সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনার প্রতিনিধি তাসনিম আহমেদ, কুয়েট প্রতিনিধি মো. ওমর ফারুক, সাতক্ষীরা জেলার যুগ্ম সদস্য সচিব নাজমুল হাসান রনি, বাগেরহাট জেলার আহ্বায়ক এস এম সাদ্দাম, নর্দান ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ড. মো. শাহ আলম, শহীদ রকিবুল ইসলামের বাবা মো. রফিকুল ইসলাম, শহীদ আলিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা বুলবুল কবীর, জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী বদরুজ্জামান নাবিল, ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালী।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খুলনা অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মশিউর রহমান খান ও মাস্টার শফিকুল আলম, সাতক্ষীরা জেলা আমির মাওলানা শহীদুল ইসলাম, খুলনা মহানগরী নায়েবে আমির অধ্যাপক নজিবুর রহমান, সাতক্ষীরা নায়েবে আমির নুরুল হুদা, খুলনা জেলা নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা কবিরুল ইসলাম, সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান, বাগেরহাট জেলা সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মদ ইউনুস, খুলনা জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, মহানগর সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শাহসহ খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের ১২ শহীদ পরিবার, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা।
ঢাকাসহ দেশের ১১টি সিটিতে একযোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।