প্রেস বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএমইউজে) তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভের সঙ্গে জানাচ্ছে যে, খাগড়াছড়ি জেলার অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানী সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে চারজন পেশাদার সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আরও তিনজন সাংবাদিককে মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে।
১০ মার্চ ২০২৫ তারিখে তোফায়েল আহমেদ, মাল্টিমিডিয়া ইনচার্জ, দৈনিক গণতদন্ত পত্রিকা এবং মেহেদী হাসান রিয়াদ, নিজস্ব প্রতিনিধি, দৈনিক গণতদন্ত পত্রিকার প্রতিনিধি, দৈনিক অর্থনীতি পত্রিকার মানিকছড়ি প্রতিনিধি মোঃ মোকতাদির হোসেন কে গ্রেফতার করা হয় এবং ১১ মার্চ ২০২৫ তারিখে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এছাড়া আরও একজন পেশাদার সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হলেও তার নাম এখনও জানা যায়নি।
একই মামলায় আরও তিনজন সাংবাদিককে মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন মো. আক্তার হোসেন – এনটিভি অনলাইন (সদর-দীঘিনালা-পানছড়ি) প্রতিনিধি, আমার দেশ দীঘিনালা প্রতিনিধি, দৈনিক কর্ণফুলী দীঘিনালা প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম খবর খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, মো. বেলাল হোসাইন,মো. বেলাল হোসাইন আজকের পত্রিকা ও দৈনিক নয়াদিগন্ত প্রতিনিধি রামগড় প্রতিনিধি, আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি আবু বক্কর ছিদ্দিক।
এই ঘটনা স্পষ্টভাবে গভীর ষড়যন্ত্রমূলক এবং সাংবাদিকদের স্বাধীনতার প্রতি নগ্ন হস্তক্ষেপ। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের একটি অপরিহার্য অংশ এবং সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের গ্রেফতার ও হয়রানি কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। সাংবাদিকরা অবৈধ ইটভাটার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন, কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। এটি শুধু সাংবাদিকদের হয়রানি নয়, বরং পুরো সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ।
আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে এই ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার করে সাংবাদিকদের মুক্তি দেওয়া হোক। অন্যথায়, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন দেশব্যাপী কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে।
নিন্দা ও প্রতিবাদ
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএমইউজে)
কেন্দ্রীয় কমিটি