চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: খাগড়াছড়ির গিরিফুল এলাকা থেকে গত ১৬ এপ্রিল অপহরণের শিকার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫ শিক্ষার্থীকে উদ্ধারের দাবিতে আগামীকাল থেকে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু কেন্দ্রের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেন চবি শিক্ষার্থী জাল্লাং এনরিকো কুবি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১৬ এপ্রিল সকাল আনুমানিক সাড়ে ৬টায় খাগড়াছড়ি গিরিফুল এলাকা থেকে চবির ৫ জন শিক্ষার্থী অপহরণ করা হয়েছিল।
জানা গেছে, ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এ অপহরণ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
এ অপহরণের ঘটনায় আমরা অপহৃতদের নিঃশর্ত দ্রুত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি এবং একইসঙ্গে অপহরণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
অপহৃতদের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সম্যকভাবে অবগত। এ অবস্থায় আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।
অপহরণের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো অপহৃত ৫ শিক্ষার্থীর সন্ধান না পাওয়া এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগের দাবিতে আমরা শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হচ্ছি। আমরা আগামীকাল থেকে একযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তিন পার্বত্য জেলা শহর, মহানগরে সচেতন, মানবিক ও প্রগতিশীল ছাত্র ও নাগরিক সমাজকে আমাদের আন্দোলনে সংহতি ও সহযোগিতা প্রদানের জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
এসময় শিক্ষার্থীরা বেশকিছু দাবি তুলে ধরেন- অবিলম্বে অপহৃত ৫ শিক্ষার্থীকে নিঃশর্ত ও সুস্থ শরীরে মুক্তি দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং অপহরণের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী হলেন- চবির চারুকলা ইনস্টিটিউটের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের মৈত্রীময় চাকমা ও অলড্রিন ত্রিপুরা, নাট্যকলা বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী দিব্যি চাকমা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের একই সেশনের শিক্ষার্থী রিশন চাকমা, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লংঙি স্রো।